সাপ্লাই কোম্পানি : প্রতারণার এক অভিনব ফাঁদ।

সাপ্লাই কোম্পানি : প্রতারণার এক অভিনব ফাঁদ।

সাপ্লাই কোম্পানি

সৌদি আরবে বহু বছর ধরেই কিছু কথিত সাপ্লাই কোম্পানি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ নানা দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে যায়। এগুলোকে সাধারণত “ম্যানপাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি” বা Human Resource Supply Company বলা হয়। এদের কাজ হলো— বিভিন্ন বড় কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক সরবরাহ করা।

কিন্তু সমস্যাটা হলো, সব কোম্পানি আইন মেনে চলে না। অনেকেই শুধু ভিসা ব্যবসা আর মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে শ্রমিক নিয়ে গিয়ে নানা রকম ভোগান্তি সৃষ্টি করে।

 

দুবাই ও সৌদি আরব প্রবাসী ভাই বোনদের জন্য রয়েছে Noon থেকে কমদামে পণ্য কেনার সুযোগ। কুপন অফশানে লিখুন probashi আর পেয়ে যান পণ্যভেদে ১০%-২৫% পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।

Noon promo code

❌ সাধারণ অভিযোগ যেগুলো পাওয়া যায় এসব কথিত সাপ্লাই কোম্পানির বিরুদ্ধে:

  1. চুক্তি ভঙ্গ – বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় যে বেতন, সুবিধা, কাজের ধরণ বলা হয়, সৌদি পৌঁছানোর পর বাস্তবে সেটি দেওয়া হয় না।
  2. কম বা দেরিতে বেতন দেওয়া – মাসের পর মাস ঠিকমতো বেতন দেয় না, বা অল্প টাকা দেয়। বেতন আটকিয়ে রাখে।  কোন কোন শ্রমিকের বেতন ৫-৬ লক্ষ টাকা বকেয়া থাকার উদাহরণ আছে।
  3. অতিরিক্ত কাজ করানো – নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ১২–১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করানো হয়, কিন্তু ওভারটাইম দেওয়া হয় না।
  4. ইকামা ও রিনিউয়াল সমস্যা – অনেক সময় কোম্পানি সময়মতো ইকামা বানায় না, বা রিনিউ করে না, ফলে শ্রমিক বিপদে পড়ে।
  5. পাসপোর্ট আটকে রাখা – শ্রমিকরা চাকরি পরিবর্তন করতে না পারে, এজন্য পাসপোর্ট রেখে দেয়।
  6. অন্য কোম্পানিতে ভাড়া দেওয়া – যে কোম্পানিতে চুক্তি হয়, সেখানে না দিয়ে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়।

 কেন এসব হয়?

  • কিছু কোম্পানি আসলে বৈধভাবে ব্যবসা করে না, শুধু ভিসা বিক্রি করে।
  • রিক্রুটিং এজেন্সি আর সাপ্লাই কোম্পানির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকে।
  • শ্রমিকরা না জেনে বা লোভে পড়ে অনেক সময় ভুল জায়গায় চুক্তি করে।

📌 শ্রমিকদের জন্য করণীয়:

  1. বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই BMET (বাংলাদেশ ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং ব্যুরো) অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া উচিত।
  2. চুক্তিপত্র ভালোভাবে পড়ে নেওয়া এবং কপি রাখা দরকার।
  3. সৌদি আরবে গিয়ে যদি বড় ধরনের প্রতারণার শিকার হন, তাহলে বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে হবে।
  4. সৌদি সরকারের Musaned প্ল্যাটফর্ম (HR মন্ত্রণালয়ের অধীনে) এখন অনেক কিছু যাচাই করার সুযোগ দেয়।

সৌদি আরব আসার পর কোম্পানির অফিস খুঁজতে হবে। সৌদি আরবের শ্রম আইন অনুযায়ী কোন কোম্পানি কর্মীকে কাজ দিতে ব্যর্থ হলে ১ লক্ষ রিয়াল জরিমানা করা হয় কোম্পানি বা কফিলকে। আমরা প্রবাসীরা আইন না জানার কারনে প্রতারিত হই বেশি,  আইনের সুফল ভোগ করতে পারিনা।

সাপ্লাই কোম্পানি চেনার উপায়

সাপ্লাই কোম্পানি চেনার প্রধান উপায় হচ্ছে সাপ্লাই কোম্পানি তার নিজ কোম্পানিতে কোন কর্মীকে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেনা। অন্য কোম্পানিতে খাটাবে। সাপ্লাই কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ভিসা বিক্রি করা, শ্রমিকের বেতন মেরে দেওয়া, পাসপোর্ট আটকিয়ে রাখা, শ্রমিকদের হয়রানি করা।

সাপ্লাই কোম্পানি চেক করার ওয়েবসাইট। এখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনি কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। মনে রাখবেন আপনাকে প্রতারিত করার জন্য, আপনার জীবনকে জাহান্নাম বানানোর জন্য দালাল ফাঁদ পেতে আছে।

আরব আমিরাত বা দুবাই এ মাহযুয টিকেট বা লটারি টিকেট কিনে কোটি টাকা পাওয়া যায়। আমরা প্রায়ই পত্র-পত্রিকায় দেখি দুবাই এ লটারি কিনে কোটি টাকা জিতেছেন বাংলাদেশী প্রবাসী। দুবাইএর মত সৌদি আরবেও লটারি জেতার একটি সুযোগ রয়েছে। তবে এখানে শরিয়া আইন অনুযায়ী পরিচালনা করা হয়। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করে পড়ুন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!