বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চাকরি, পড়াশোনা, বা স্থায়ী বসবাসের জন্য যেতে হলে মেডিকেল চেক আপ একটি বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া। প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্যসেবা নীতি অনুযায়ী মেডিকেল চেকআপের শর্ত আরোপ করে। এই প্রক্রিয়া মূলত সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন।
এই নিবন্ধে, আমরা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিকেল চেকআপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, যা আপনাকে সহজে এবং দ্রুত এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে।
মেডিকেল চেক আপ বা মেডিকেল টেস্ট কেন প্রয়োজন?
মেডিকেল চেক আপ বিদেশে যাওয়ার পূর্বশর্তগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি বিভিন্ন কারণে প্রয়োজন হয়:
1. স্বাস্থ্য ঝুঁকি নির্ধারণ: প্রার্থীর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো ঝুঁকি আছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়। তাছাড়া প্রার্থী কোন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত করা।
2. সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ: সংক্রামক রোগ ছড়ানো প্রতিরোধে এটি কার্যকর। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় আমরা দেখেছি মেডিকেল চেক আপ করা কত গুরুত্বপূর্ণ।
3. কাজের উপযুক্ততা যাচাই: বিদেশে কাজের জন্য শারীরিক সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হয়। আপনি যে কাজের জন্য যাচ্ছেন সেই কাজ করার জন্য আপনি শারীরিকভাবে সক্ষম কিনা সেটা যাছাই করা প্রয়োজন।
4. ইমিগ্রেশন নীতিমালা পূরণ: বিদেশি দেশের ইমিগ্রেশন শর্ত পূরণে মেডিকেল চেকআপ প্রয়োজন হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে মেডিকেল চেক আপ বা মেডিকেল টেস্ট বাধ্যতামূলক?
1. কর্মসংস্থানের জন্য:
মধ্যপ্রাচ্য (যেমন: সৌদি আরব, দুবাই, কাতার) বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে চাকরি পেতে মেডিকেল চেক আপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
2. পড়াশোনার জন্য:
অনেক দেশ স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করার আগে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা আরোপ করে।
3. স্থায়ী বসবাসের জন্য (PR):
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বা নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে PR ভিসার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
4. পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য:
ফ্যামিলি ভিসা বা ডিপেন্ডেন্ট ভিসার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজন।
ফ্রি ভিসার সুবিধা ও অসুবিধা বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
মেডিকেল চেক আপে কী কী পরীক্ষা করা হয়?
মেডিকেল চেক আপের ধরণ নির্ভর করে ভিসার ধরণ এবং দেশের নীতিমালার উপর। সাধারণত নিচের পরীক্ষা করা হয়:
1. রক্ত পরীক্ষা:
HIV/AIDS, হেপাটাইটিস বি ও সি, এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ নির্ধারণ।
2. ইউরিন টেস্ট:
ডায়াবেটিস বা কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা নির্ধারণ। তবে সব দেশে যাওয়ার জন্য ইউরিন টেস্ট প্রয়োজন হয়না।
3. এক্স-রে পরীক্ষা:
বিশেষত ফুসফুসে যক্ষ্মা বা টিউবারকুলোসিস (TB) শনাক্ত করার জন্য। বুকের এক্সরে একটি কমন পরীক্ষা। এটি বাধ্যতামূলক।
4. শারীরিক পরীক্ষা:
এই পরীক্ষায় উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ এবং সাধারণ শারীরিক অবস্থা যাচাই করা হয়। সাধারণত ডাক্তার আপনার শরীরে বাহ্যিকভাবে কোন কাটা-ছেঁড়া, জন্মগত দাগ আছে কিনা সেটা দেখবেন।
5. চোখ পরীক্ষা:
বিশেষত যারা ড্রাইভার বা নির্দিষ্ট কাজে যুক্ত হতে চান তাদের চোখের পরীক্ষা দিতে হয়।
6. গর্ভধারণ পরীক্ষা (মহিলাদের জন্য):
মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে এটি প্রয়োজন হয়।
সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে বাধ্যতামূলক।
গামকা কি?
সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোর সমন্বয়কারী সংস্থা হল গামকা। গামকার পূর্ণরুপ হচ্ছে গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশন (গামকা)।
মেডিকেল চেক আপের জন্য কোথায় যেতে হবে?
বাংলাদেশে বিদেশে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত মেডিকেল চেক আপের জন্য সরকার অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার বা ক্লিনিকে যেতে হবে। তবে আপনি চাইলে আপনার যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে আপনার জেলা শহরে মেডিকেল টেস্ট করাতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি নিজে না পারলে এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন।কিছু জনপ্রিয় মেডিকেল সেন্টারের নাম:
1. গামকা (GAMCA) মেডিকেল সেন্টার:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির জন্য বাধ্যতামূলক। গামকা সেন্টারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে GAMCA ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।
2. প্রাইভেট মেডিকেল সেন্টার:
ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত।
3. সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স:
নির্দিষ্ট কিছু ভিসার ক্ষেত্রে এখানে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়।
মেডিকেল চেক আপের বা গামকা মেডিকেল খরচ কত?
মেডিকেল চেক আপের খরচ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে:
1. গন্তব্য দেশ:
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সাধারণত ১০,০০০ টাকা। মেডিকেল স্লিপ বের করতে ১৫০০ টাকা আর যে হাসপাতাল বা মেডিকেল সেন্টারে চেক আপ করবেন সেখানে ৮৫০০ টাকা পরিশোধ করবেন।
ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ার জন্য খরচ একটু বেশি হতে পারে, প্রায় ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা।
2. পরীক্ষার ধরন:
রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে এবং অন্যান্য পরীক্ষা বেশি হলে খরচ বাড়তে পারে।
3. মেডিকেল সেন্টার:
সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় প্রাইভেট সেন্টারের খরচ বেশি।
মেডিকেল চেক আপের জন্য প্রস্তুতি| Preparation for medical check up.
মেডিকেল চেকআপের আগে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, যা প্রক্রিয়াটি সহজ করে। যার মধ্যে প্রাক মেডিকেল টেস্ট, মেডিকেল স্লিপ অন্যতম, শরীরে কোন রোগ থাকলে মেডিকেল টেস্টের আগে ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ হওয়া ইত্যাদি।
প্রাক মেডিকেল টেস্ট কি? Pre medical test.
মেডিকেল চেক আপ করার খরচ ১০০০০ দশ হাজার টাকা। যাতায়াত খরচসহ আনুমানিক ১১০০০ হাজার টাকা। মেডিকেল টেস্ট করার পর যদি মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট হয় তাহলে সময় ও অর্থ নষ্ট হবে। আপনি যদি মনে করেন আপনার শরীরে কোন প্রবলেম আছে তাহলে চূড়ান্ত মেডিকেল টেস্ট করার আগে আপনি কিছু টেস্ট করে নিতে পারেন। যদি কোন সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মেডিকেল টেস্ট করতে পারেন। এতে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট ফিট আসার সম্ভাবনা ১০০%
মেডিকেল স্লিপ কিভাবে বের করে?
আপনি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে মেডিকেল স্লিপের জন্য আবেদন করবেন। আবেদন ফি ১৫০০ টাকা। আপনি কোন মেডিকেলে চেকআপ করবেন এই আবেদন স্লিপে উল্লেখ থাকবে। মেডিকেল স্লিপের মেয়াদ থাকে ১ মাস। আপনি যেদিন মেডিকেল স্লিপ বের করবেন সেদিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত এই মেডিকেল স্লিপের মেয়াদ থাকবে। সাধারণত সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত মেডিকেল চেকআপ করা যায়। আপনি মেডিকেল চেকআপ এজেন্সির মাধ্যমে অথবা নিজে নিজে বের করতে পারবেন। মেডিকেল স্লিপ আগে বের করে নিলে সুবিধা হলো আপনি আগে থেকেই জানবেন কোথায় আপনার মেডিকেল চেক আপ হচ্ছে। আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। মেডিকেল স্লিপ বের করতে পাসপোর্ট ফটোকপি, ছবি লাগবে। মেডিকেল স্লিপ দেখতে বা প্রিন্ট করতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
মেডিকেল টেস্ট করতে সাথে কি কি কাগজপত্র নিতে হবে?
মেডিকেল সেন্টার বা হাসপাতালে আপনাকে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টার মধ্যে যেতে হবে। মেডিকেল সেন্টারে যাওয়ার সময় আপনাকে নিম্নের কাগজগুলো সাথে নিয়ে যেতে হবে।
১. মূল পাসপোর্ট।
২. পাসপোর্টের ১ টি ফটোকপি।
৩. পাসপোর্ট সাইজের ছবি ২ কপি।
৪. মেডিকেল স্লিপের ফটোকপি নিয়ে যাবেন।
৫. ৮,৫০০ টাকা।
কাউন্টারে আপনার ছবি তুলবে, ৮৫০০ টাকা নিবে, আপনার পাসপোর্টের সাথে আপনার ভেরিফিকেশান করবে। আপনাকে একটি পেপার দিবে যার একটি অংশ মেডিকেল শেষ হলে আপনাকে দিয়ে দিবে। এই পেপার আপনার এজেন্সিতে আপনি পরবর্তীতে জমা দিবেন।তারপর একে একে আপনার রক্ত নিবে, বুকের এক্সরে করবে। সবশেষে একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তিনি ওজন মাপবেন, তিনি প্রয়োজন মনে করলে জামা খুলে পিঠ, বুক দেখাতে হবে। এই তিনটি ধাপ শেষ করলে আপনার মেডিকেল চেক আপ প্রক্রিয়া শেষ হবে। মেডিকেল টেস্ট নিয়ে দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই।
মেডিকেল চেক আপ করার সময় কি প্যান্ট খুলতে হয়?
উত্তর হচ্ছে না। অনেকের একটা কমন চিন্তা থাকে মেডিকেল চেক আপ করার সময় প্যান্ট খুলতে হয় কিনা।মেডিকেল চেক আপ করার সময় প্যান্ট খুলে নগ্ন হতে হয়না।
ভিসা আসার আগে কি মেডিকেল চেক আপ করা যায়?
উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। ভিসা আসার আগে মেডিকেল চেক আপ করা যায়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন মেডিকেল চেক আপের মেয়াদ থাকে ২ মাস। ২ মাসের মধ্যে ভিসা না স্ট্যাম্পিং না হলে আপনাকে ১০০০০ টাকা দিয়ে আবার নতুন করে মেডিকেল চেক করতে হবে।
মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট পেতে কত সময় লাগে?
মেডিকেল রিপোর্ট সাধারণত ৪-৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ফলাফল পেতে বেশি সময় লাগতে পারে, বিশেষত যদি কোনো পরীক্ষা পুনরায় করাতে হয়। আপনি যে মেডিকেল সেন্টারে চেক আপ করিয়েছেন তাদের ফোন নাম্বারে ফোন করে জেনে নিতে পারবেন আপনি ফিট অথবা আনফিট।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক
মেডিকেল টেস্ট করে আসার ৪ দিন পরে আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সহজেই অনলাইনে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। অনলাইনে আপনাকে বেশি তথ্য দিবেনা। শুধু আপনার ছবির পাশে লেখা থাকবে আপনি ফিট অথবা আনফিট।
আপনি এই লিংকে ক্লিক করে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে পারবেন।
মেডিকেল রিপোর্টের মেয়াদ কত দিন থাকে?
মেডিকেল চেক আপ করার পর যেদিন রিপোর্ট পাবেন সেদিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্টের মেয়াদ থাকবে। ২ মাস পর পুনরায় মেডিকেল স্লিপ বের করে ১০০০০ টাকা খরচ করে মেডিকেল টেস্ট করতে হবে।
মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট হলে করণীয় :
কয়েকটি কারনে মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট হতে পারে। আপনি যে মেডিকেল সেন্টারে মেডিকেল টেস্ট করিয়েছেন সেখান থেকে আপনার আনফিট হবার কারন জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনি যে রোগে আক্রান্ত সে রোগের ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ হয়ে আবার মেডিকেল টেস্ট করাতে পারবেন। মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার করণীয় জানিয়ে দিবে। আপনি তাদের পরামর্শ ফলো করতে পারেন।
বিদেশ যাওয়ার পর আবার মেডিকেল টেস্ট করতে হয় কিনা?
উত্তর হচ্ছে না। আপনি বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার পর পুনরায় মেডিকেল টেস্ট করতে হবেনা।
উপসংহার
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য মেডিকেল চেকআপ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি বিদেশি দেশের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক। সঠিক সময়ে নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা করানো, রিপোর্ট সংগ্রহ করা এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
মেডিকেল চেক আপ সম্পন্ন করার পর আপনার ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং দ্রুত হবে। তাই, এই প্রক্রিয়াটি শুরু করার আগে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে এবং সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে এগিয়ে যান।
আপনার যেকোন তথ্যের জন্য প্রবাসী হেল্প ডট কমে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আসসালাম আলাইকুম আমি বর্তমানে শারিরীক ভাবে সুস্হ এবং আজ থেকে ৮/৯ বছর আগে একটু মানসিক চাপের কারনে আমি নিজেকে নিজে প্রচুর পরিমানে ব্লেড দিয়ে আঘাত করি পরবর্তী তে এখন আমার শরীরে ২ হাজার মত কাটা দাগ আছে এগুলো নিয়ে কি আমি বিদেশ গমন করতে পারবো??কাজ করার জন্য??
দাগ কোথায় সেটা উল্লেখ করেন নাই। মেডিকেল চেক আপ ৩ টি পর্যায়ে হয়ে থাকে। প্রথমে রক্ত দিবেন।তারপর এক্সরে করাবে। সবশেষে ডাক্তার দেখাবে।ডাক্তার যদি মনে করে আপনাক মানসিকভাবে ফিট তাহলে ফিট দিতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনার জেলা শহরে যেখানে মেডিকেল চেক আপ করা যায় সেখানে গেলে আপনাকে একটা মোটামুটি ধারনা দিয়ে দিবে। আর হতাশ হবার কারন নেই সব সম্ভবের এই দেশ বাংলাদেশ। আপনি চাইলে দালাল মারফত এজেন্সিতে কথা বলতে পারেন। আপনার সফলতা কামনা করছি।