টার্মিনেট সৌদি আরবে প্রবাসীদের নিকট এক আতংকের নাম। টার্মিনেট ২ ভাবে হতে পারে। কোম্পানি বা কফিল কর্মীকে টার্মিনেট করতে পারে। আবার কর্মীও চাইলে চুক্তি টার্মিনেট করতে পারে। আসুন বিস্তারিত জেনে নেই।

টার্মিনেট কি?
ইংরেজি টার্মিনেট শব্দের বাংলা অর্থ শেষ করা, সম্পূর্ণ করা, ভঙ্গ করা, সীমাবদ্ধ করা ইত্যাদি। সৌদি আরবে টার্মিনেট করা বলতে কন্ট্রাক্ট বা চুক্তি সীমাবদ্ধ করা বুঝায়।
টার্মিনেট আর হুরুবের মধ্যে পার্থক্য কি?
যখন কোন কর্মী কোম্পানি বা কফিলের কাজ থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। তখন কোম্পানি বা কফিল তার সিস্টেম থেকে কর্মীকে অনুপস্থিত দেখাতে হয়। এই অনুপস্থিত দেখানোকে আরবিতে হুরুব, ইংরেজিতে আবসেন্ট বলে। বর্তমানে কোন কোম্পানি বা কফিল তার কর্মীকে সরাসরি হুরুব দিতে পারবেনা।
টার্মিনেট চেক করার নিয়ম।
কফিল বা কোম্পানি কোন কর্মীকে টার্মিনেট করলে ঐ কর্মী মোবাইলে মেসেজ পাবেন। তাছাড়া কর্মী তার কিউয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তার স্টাটাস চেক অর্থাৎ টার্মিনেট দিয়েছে কিনা চেক করতে পারবেন।
টার্মিনেট করলে কি হয়?
কফিল বা কোম্পানি টার্মিনেট করলে হাতে দুইটি অফশান থাকে।
এক. দেশে চলে যাওয়া।
দুই. ৬০ দিনের মধ্যে অন্য কোম্পানিতে কাফালা হওয়া।
টার্মিনেটপ্রাপ্ত কর্মী অন্য কোম্পানিতে কাফালা হওয়ায় একটি শর্ত আছে। সৌদি আরবে কর্মীর বয়স ১ বছর পূর্ণ হতে হবে।
কফিল টার্মিনেট করলে কিভাবে বুঝবো?
কফিল বা কোম্পানি কোন কর্মীকে টার্মিনেট করলে ঐ কর্মী মোবাইলে মেসেজ পাবেন। তাছাড়া কর্মী তার কিউয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তার স্টাটাস চেক অর্থাৎ টার্মিনেট দিয়েছে কিনা চেক করতে পারবেন।
টার্মিনেট দিলে কাফালা হওয়া যাবে কিনা?
কফিল বা কোম্পানি কোন কর্মীকে টার্মিনেট করলে ৬০ দিনের মধ্যে ঐ কর্মী অন্য কোম্পানিতে কাফালা হতে পারবে। তবে শর্ত হচ্ছে ঐ কর্মী সৌদি আরবে ১ বছর পূর্ণ করার পর কফিল টার্মিনেট করলে অন্য কোম্পানিতে ৬০ দিনের কাফালা হতে পারবে। যদি কোন কর্মী সৌদি আরবে এসেছে ১ বছর পূর্ণ হয়নি এমতাবস্থায় কোম্পানি তাকে টার্মিনেট করে দিয়েছে তাহলে এই কর্মী অন্য কোম্পানিতে কাফালা হতে পারবে না। তাকে ৬০ দিনের মধ্যে দেশে চলে যেতে হবে।
টার্মিনেট কি কফিল ক্যান্সেল করতে পারবে?
টার্মিনেট ক্যান্সেল করা যায়। এক্ষেত্রে কোম্পানি বা কফিল ব্যতীত অন্য কেউ টার্মিনেট ক্যান্সেল করতে পারবেনা।
টার্মিনেট করলে কত দিনের মধ্যে কাফালা হতে হয়?
কফিল বা কোম্পানি টার্মিনেট করলে ৬০ দিনের মধ্যে দেশে চলে যেতে হয়। ৬০ দিন পর আপনি হুরুবপ্রাপ্ত হয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনি অবৈধ হয়ে যাবেন। কোনভাবেই আর বৈধ হতে পারবেন না। তাই টার্মিনেট পেলে আপনাকে অবশ্যই ৬০ দিনের মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।
টার্মিনেট করলে কত দিনের মধ্যে দেশে চলে যেতে হয়?
কোম্পানি টার্মিনেট করলে ৬০ দিনের মধ্যে দেশে চলে যেতে হয়। অন্যথায় টার্মিনেটপ্রাপ্ত কর্মী অবৈধ হয়ে যায়।
কফিল টার্মিনেট করলে দেশে কিভাবে যাওয়া যায়?
কফিল টার্মিনেট করলে ৬০ দিনের মধ্যে দেশে চলে যেতে হয়। আপনার শুধুমাত্র প্রয়োজন একটি বিমান টিকেট। কোম্পানি থেকে বিমান টিকেট পাওয়া টার্মিনেটপ্রাপ্ত কর্মীর অধিকার। কোম্পানি বিমান টিকেট দিতে বাধ্য থাকবে।
টার্মিনেট বাতিল করার নিয়ম।
টার্মিনেট বাতিল করা যায়। এক্ষেত্রে কোম্পানি বা কফিল ব্যতীত অন্য কেউ টার্মিনেট বাতিল করতে পারবেনা। তবে মনে রাখা বিশেষ প্রয়োজন যেদিন টার্মিনেট করা হয়েছে ঐদিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে টার্মিনেট বাতিল করতে হবে।
টার্মিনেট হুরুব কেটে কাফালা হওয়ায় নিয়ম।
টার্মিনেট কফিল বা কোম্পানি ব্যতীত অন্য কেউ ক্যান্সেল করতে পারবেনা। কফিলের মাধ্যমে টার্মিনেট ক্যান্সেল করে কর্মী চাইলে একই কোম্পানিতে থাকতে পারবে। অথবা অন্য কোম্পানিতে কাফালা হতে পারবে। কফিল বা কোম্পানি কোন কর্মীকে টার্মিনেট করলে ৬০ দিনের মধ্যে ঐ কর্মী অন্য কোম্পানিতে কাফালা হতে পারবে। তবে শর্ত হচ্ছে ঐ কর্মী সৌদি আরবে ১ বছর পূর্ণ করার পর কফিল টার্মিনেট করলে অন্য কোম্পানিতে ৬০ দিনের কাফালা হতে পারবে। যদি কোন কর্মী সৌদি আরবে এসেছে ১ বছর পূর্ণ হয়নি এমতাবস্থায় কোম্পানি তাকে টার্মিনেট করে দিয়েছে তাহলে এই কর্মী অন্য কোম্পানিতে কাফালা হতে পারবে না। তাকে ৬০ দিনের মধ্যে দেশে চলে যেতে হবে।
কি করলে কফিল বা কোম্পানি টার্মিনেট হুরুব দিতে পারবেনা?
আপনার কফিল আপনাকে হুরুব দিয়েছে কিনা এই লিংকে ক্লিক করে চেক করুন।
প্রবাসী হেল্প ডট কমের সাথে থাকুন। আপনার যেকোন প্রশ্ন কমেন্ট সেকশানে করুন।
কোম্পানির সাথে কর্মী নিজে কন্ট্রাক্ট টার্মিনেট করতে পারবে কিনা?
আমি লেবার আমি কি কন্টাক্ট টার্মিনেট করতে পারবো,,
আপনিও চাইলে কন্টাক টার্মিনেট করতে পারেন যদি আপনার কুয়া বা কিউয়া একাউন্ট থাকে।